ইউসিইপি বাংলাদেশ (NGO) নার্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ইউসিইপি বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে নিউজিল্যান্ডের জনাব লিন্ডসে অ্যালান চেইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মূলত 'শিখতে সাহায্য করুন, উপার্জন করতে সাহায্য করুন' মূলমন্ত্র নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা যা স্কুল বহির্ভূত শিশুদের দ্বিতীয় সুযোগ শিক্ষা প্রদান করেন। এছাড়াও কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (TVET) এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযুক্ত কাজ প্রদান করে। ইউসেপ বাংলাদেশ সামাজিক অন্তর্ভুক্তির উপর বিশেষ ফোকাস প্রদান করেন, যে কারনে দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের নারী, শিশু এবং যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
বর্তমানে, ইউসিইপি বাংলাদেশ "ইউসিইপি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন" দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যার মধ্যে ৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবী সদস্য রয়েছে যাদের মধ্যে ৭ জন দুই বছরের মেয়াদের বোর্ড অফ গভর্নর (বিওজি) হিসাবে কাজ করার জন্য নির্বাচিত হন।
ইউসিইপি বাংলাদেশ এর জন্য প্রশিক্ষক ও প্রধান প্রশিক্ষক (কেয়ারগিভার) পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের নিমিত্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিকট থেকে আবেদনপত্র আহব্বান করা হচ্ছে।
চাকরির সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
- কর্মস্হল: ঢাকা, চট্টগ্রাম
- কর্মক্ষেত্র: অফিসে
- বয়স: সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।
- খালি পদ: প্রশিক্ষক পদে ৩ টি এবং প্রধান প্রশিক্ষক পদে ৩টি
- পদের নাম: প্রশিক্ষক এবং প্রধান প্রশিক্ষক (কেয়ারগিভার)
- চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
- বেতন: প্রশিক্ষক পদে ৪০,০০০ এবং প্রধান প্রশিক্ষক পদে ৪৫,০০০ হাজার টাকা (মাসিক)
- অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর
- আবেদনের শেষ তারিখ: ৬ নভেম্বর ২০২৪
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা:
- উভয় পদে বিএসসি ইন নার্সিং/ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং/ ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি/ MATS/ আনান্য স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত ক্ষেত্রের সার্টিফিকেটধারী হতে হবে।
- প্রধান প্রশিক্ষক (কেয়ারগিভার) পদে বিএসসি এর জন্য ন্যূনতম ৩ বছর এবং ডিপ্লোমার জন্য ন্যূনতম ৫ বছরের পেশাদার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- প্রশিক্ষক (কেয়ারগিভার) পদে বিএসসি এর জন্য ন্যূনতম ২ বছর এবং ডিপ্লোমার জন্য ন্যূনতম ৩ বছরের পেশাদার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
আগ্রহী প্রার্থীদের ৬ নভেম্বর, ২০২৪ইং তারিখের মধ্যে এই লিংকে (https://jobs.ucepbd.org) গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
উপরের উল্লেখিত লিংকে প্রবেশ করে আপনার ই-মেইল আইডি দিয়ে সাইন আপ করবেন। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করবেন।
যোগাযোগ ঠিকানা
ঠিকানা: প্লট # ২ এবং ৩, মিরপুর-৩, ঢাকা-১২১৬
ওয়েবসাইট: https://www.ucepbd.org/
ইউসিইপি বাংলাদেশ
ইউসিইপি (UCEP) বাংলাদেশ হলো একটি উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান, যা মূলত দরিদ্র জনগণের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে। ইউসিইপির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষাহীন ও কর্মহীন যুবকদের দক্ষতা প্রদান করে তাদের জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করা।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস
- প্রতিষ্ঠাকাল: ইউসিইপি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, মূলত যুদ্ধপরবর্তী সময়ে দরিদ্র জনগণের শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগ তৈরির জন্য।
- মিশন: এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের অশিক্ষিত ও সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের দক্ষতা প্রদান এবং তাদের জীবিকা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
শিক্ষা কার্যক্রম
- প্রাথমিক শিক্ষা: ইউসিইপি ঝরে পড়া শিশুদের জন্য বিশেষ প্রাথমিক শিক্ষা প্রোগ্রাম চালায়। এর মাধ্যমে শিশুরা মৌলিক শিক্ষা গ্রহণ করে।
- মাধ্যমিক শিক্ষা: অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়, যেখানে জীবনমুখী পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- কারিগরি প্রশিক্ষণ: বিভিন্ন কারিগরি ট্রেড, যেমন:
- কম্পিউটার প্রশিক্ষণ
- বৈদ্যুতিক কাজ
- গৃহস্থালী কাজ
- পোশাক শিল্প
- মোটর মেকানিক্স
সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প
- স্বাস্থ্য ও পুষ্টি: ইউসিইপি স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও পুষ্টির উন্নয়নে কাজ করে। স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজন, টিকা কার্যক্রম, এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
- নারী উন্নয়ন: নারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা প্রকল্প পরিচালনা করা হয়, যাতে তারা নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে।
উদ্ভাবনী উদ্যোগ
- লাইফ স্কিলস প্রশিক্ষণ: যুবকদের বিভিন্ন জীবনের সমস্যার মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য জীবন দক্ষতার ওপর প্রশিক্ষণ।
- নেটওয়ার্কিং ও সুযোগ সৃষ্টি: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে কর্মসংস্থান তৈরি করা।
সম্প্রসারণ ও প্রভাব
- ইউসিইপি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করে, বিশেষত গ্রামীণ ও শহরতলির এলাকায়।
- প্রতিষ্ঠানটি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহযোগিতা লাভ করে।
সাফল্য
- ইউসিইপির মাধ্যমে হাজার হাজার যুবক ও শিশু শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে এবং অনেকেই নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
- আরও বেশি যুবককে সেবা দেওয়ার জন্য নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
ইউসিইপি বাংলাদেশ দেশের সামাজিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে, যা দরিদ্র জনগণের জন্য জীবন পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করে।